দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন আজ (২১ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে। সরকারি স্কুলগুলোর পাশাপাশি মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরের বেসরকারি স্কুলগুলোও এ প্রক্রিয়ার আওতায় রয়েছে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, যা টেলিটক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভর্তির নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা [https://gsa.teletalk.com.bd](https://gsa.teletalk.com.bd) ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন এবং টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন ফি প্রদান করে আবেদনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করে আবেদনপত্র পূরণ ও সাবমিট করতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থীকে তার সব প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। যেসব প্রার্থী বিভিন্ন কোটায় আবেদন করবেন, তাদের প্রযোজ্য কোটার স্থানে অবশ্যই টিক চিহ্ন দিতে হবে, অন্যথায় কোটা বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব হবে না।
অনলাইনে আবেদনপত্রে প্রার্থীকে তার রঙিন ছবি (৩০০×৩০০ পিক্সেল) স্ক্যান করে JPEG ফরমেটে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে সাবমিট করার পর ছবিসহ অ্যাপ্লিকেশন প্রিভিউ দেখা যাবে। আবেদন সঠিকভাবে জমা হলে প্রার্থী একটি ইউজার আইডিসহ ছবি সম্বলিত অ্যাপ্লিক্যান্টস কপি পাবেন।
প্রতি আবেদনকারীকে পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট বা ডাউনলোড কপি সংরক্ষণ করতে হবে, যা ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে কাজে লাগবে। আবেদনপত্রে সরবরাহকৃত তথ্যই পরবর্তী সব কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে, তাই আবেদন জমা দেওয়ার আগে সব তথ্য সঠিক আছে কি না—প্রার্থীকে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে।
এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন ফি প্রদানের নিয়ম অনুযায়ী, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন থেকে পাওয়া ইউজার আইডি ব্যবহার করে টেলিটকের যেকোনো প্রি-পেইড নম্বর থেকে দুটি এসএমএসের মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনের জন্য ১০০ টাকা জমা দিতে হবে।
প্রথম এসএমএসে লিখতে হবে: GSA<space>User ID এবং পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ: GSA ABCDEF পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি বার্তায় শিক্ষার্থীর নামসহ একটি পিন নম্বর পাঠানো হবে, যা ব্যবহার করে দ্বিতীয় এসএমএসটি করতে হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি বা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নোটিশ বোর্ড থেকে জানা যাবে। কেউ অসদুপায় অবলম্বন করে একই প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার আবেদন করলে এবং তা প্রমাণিত হলে তার আবেদন বাতিল করা হবে।
লগইন করার পর তথ্য ইনপুট দিয়ে সেভ করলে ‘Summary’ বাটনে ক্লিক করে প্রিন্ট নেওয়া যাবে। কোনো তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে সংশোধন করে পুনরায় সেভ করতে হবে, এরপর আবার ‘Summary’ বাটনে ক্লিক করে আপডেটেড তথ্য প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে।












